ঈশ্বরদীসহ দাশুড়িয়া বাজারের মসজিদ গলির দোকানসহ বিভিন্ন দোকান থেকে তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়ারাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ

 


অনলাইন ডেস্ক ।। চাঁদ রাতে  আনুমানিক দশটা থেকে শুরু করে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ঈশ্বরদীর  দাশুড়িয়া বাজারের মসজিদ গলির সকল দোকানসহ দাশুড়িয়া  বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে তৃতীয় লিঙ্গের  হিজড়ারা জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করেছে। তাদের চাহিদামত অর্থ না দিলে জোর করে অর্থ আদায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দোকানীদের অপমান করেছে। চাহিদামত টাকা না পেলেই তারা জোর করে টাকা আদায় ও দোকানের সামগ্রী তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।  দোকানী ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করলে, তারা পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা শুনে পুলিশ সহ সকল মানুষকেই  অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন । এবং তাদের পোশাক শরীর থেকে খুলে দোকানী ও সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে। দাশুড়িয়া বাজারের বিবিন্ন দোকানী ও প্রত্যক্ষদরশীদের দেওয়া অভিযোগে এসব তথ্য জানাগেছে।     প্সরকল হিজরাদের ডেকে মারামারি করে লুট করার কথা বলেন। স্থানীয় দোকানীরা এ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়।

এই বিষয়টি জানতে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান এর সাথে মুঠোফোনে  যোগাযোগ করা হলে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের নেতাদের সাথে কথা বলে স্থায়ী সমাধান করার আশ্বাস দেন।

সচেতন ও সাধারণ মানুষ বলছেন, সরকার নানাভাবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে সুযোগ-সুবিধা ও ভাতার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। এবং সাধারণ মানুষের মতো সমানতালে সরকারি ও বেসরকারি খাতে যেন তারা চাকরি করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করার চেষ্টা করছেন।

ইতোমধ্যে তারা সাধারণ মানুষের সাথেই  বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন। কিন্তু তারপরও তারা বিভিন্ন জায়গায় জোরপূর্বক অর্থ আদায় করছেন। এবং কারো সন্তান হলেও জোরপূর্বক অর্থ আদায়সহ অনেক জায়গায় নানা অপকরমো   করে থাকে।  চোহিদামত অর্থ না পেলে  সন্তান নিয়ে চলে যাওয়া এবং জনসমাগমে লাঞ্ছিত করা ও নোংরা কথাবার্তা ও বাজে আচরণ করেও থাকে। অনেক সময় শারীরিক ভাবে আক্রমণ ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় দেখা যায় অসামাজিক কাজ ও অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছেন তারা। কিন্তু এরপরও সাধারন মানুষ শ্রদ্ধাশীল হয়ে লজ্জা, আত্মসম্মানের ভয়ে  প্রতিবাদ না করে তাদের অর্থ

 দিয়ে বিদায় করে । তাই সচেতন সাধারণ মানুষ সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের যেমন সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তেমনি তাদের অসামাজিক আচরণ ও  অপরাধ প্রবণতা থেকে বাঁচতে তাদেরকে আইনের আওতায় রেখে দেখভালের  ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশে যেমন নারী পুরুষ সমান অধিকার । তেমনি তৃতীয় লিঙ্গের  মানুষদের প্রতি সরকার ও সর্ব সাধারন মানুষ  শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এখনো কিছু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বদলায়নি।

কিন্তু সচেতন সমাজের মানুষ বলছেন, সাধারণ মানুষের মতনই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দেখতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও  শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তেমনি  তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও  পড়াশোনা করে সুশিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করে আচার-ব্যবহার ও ভাল মানসিকতা  তৈরি করতে হবে। তবে দেশ ও জাতির মঙ্গলে তারা কাজে আসবে।


No comments

Powered by Blogger.