বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার ও বন্ধকরা ইনক্রিমেন্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিলেন রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসেসিয়েশনের নেতারা

 



ক্যাপশন \ ঈশ^রদী আইডিই ভবনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসেসিয়েশনের কেন্দ্রিয় সভাপতি প্রভাস কুমার মল্লিক।

ঈশ^রদী প্রতিনিধি \ অফ ডিউটিতে থাকা কালিন সময়ে প্রশাসনিক শাস্তি প্রদান করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসেসিয়েশন পাকশী শাখার পক্ষ থেকে শনিবার ঈশ^রদীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈশ^রদী আইডিইবি ভবনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসেসিয়েশনের কেন্দ্রিয় সভাপতি প্রভাস কুমার মল্লিক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন,কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ ইমরুল কায়েস তালুকদার।  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,জাতীয় শ্রমিকলীগ ঈশ^রদী শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ঈশ^রদী শাখার সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন। রেলওয়ে সিগন্যাল এ্যাসেসিয়েশনের কেন্দ্রিয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল কালামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন,কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা এনামুল হক খান ও তরিকুল আলম,কেন্দ্রিয় কমিটির অর্থ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল রাশেদ,সহসাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম,কার্যকরি সভাপতি মনিরুজ্জামান চৌধুরী , ঢাকার নেতা নুরউদ্দীন সোহাগ ও আলাউদ্দিন লিমন,ময়মনসিংহের নেতা সিরাজুল ইসলাম । এছাড়াও বিভিন্ন শাখার পক্ষ থেকে ফিরোজ কবীর রুবেল,সোহাগ হাসান,শামিমুর রহমান,ফেরদৌস রায়হান,এমদাদুল হক,শফিউর রহমান,আলম আলী,রেজাউল করীম,হাসান হাফিজুর রহমান ও পাকশী বিভাগের অর্থ সম্পাদক সাগর হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।

বক্তারা সাময়িক বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার ও বন্ধকরা ইনক্রিমেন্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়ে বলেন,গত ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রেলওয়ে মহাপরিচালকের দেয়া পত্রের নির্দেশ মোতাবেক সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী  বিভাগের মাঠ পর্যায়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিরা কন্টিনিউয়াস কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মহাব্যবস্থাপক পূর্ব এর কার্যালয়ের আইন শাখার এলও শাখার ই/৫৭/এইচডি-ডবিøউপি/২০১০ তারিখ-০৭.০৯.২০২১ ইং পত্রে সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে,অনডিউটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবেনা । কিন্তু অফডিউটিতে বিশ্রামকালিন ও সুটি কালিন সুবিধা ভোগের ক্ষেত্রে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে এ্যাক্ট এর বিশ্রাম কালের সংজ্ঞা ও ফান্ডামেন্টাল রুল-৬৮ এর এসআর-২০৯ বিএসআর-১৫৩ অনুযায়ী সুবিধা ভোগ করবেন। মূলত: রেলওয়ে সাধারণ ও আনুষ্ঠানিক বিধির ১৭৭,১৭৮ ও ১৭৯ ধারাকে স্পষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ এটা সুস্পষ্ট যে,অফডিউটিতে কোন প্রকার ই এন্ড ডি বিধি প্রযোজ্য হতে পারবেনা। কিন্তু কর্মকর্তারা এমএস মাহাবুব,এমএস রেজাউল করীম ও খালাসী সোহেল রানাসহ অনেক কয়েকজনের  শুক্রবারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য দেখিয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে সাময়িক বরখাস্তসহ পাঁচ বছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করেছেন। অথচ ভুক্তভোগীরা তাদের লিখিত জবাবে প্রশাসনিক লিখিত পত্র মোতাবেক কন্টিনিউয়াস কর্মচারী হিসেবে ডিউটি করেছেন বলে উল্লেখ করলেও তাদের বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছে যা মোটেও সমিচিন হয়নি। পরে জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও শ্রমিকলীগ নেতা নজরুল ইসলামের নিক স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।#



No comments

Powered by Blogger.