এড,রবিউল আলম বুদু,পান্না সরদার,মান্না সরদার ও পাখি সরদারের ভাগ্নে ভিপি জুয়েল ঈশ^রদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী
অনলাইন ডেস্ক ॥ মুজিব আদর্শে উজ্জিবীত আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান মো. ফিরোজুল ইসলাম ভিপি জুয়েল। পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধু ভক্ত হওয়ায় কৈশরের রাজনীতির হাতে খড়ি হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাত ধরে। ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সাড়ামারোয়ারী স্কুল এ্যান্ড কলেজের ১৯৮২ সালে সাধারণ সম্পাদক পদ অর্জনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি যাত্রা শুরু করেন। স্কুল শাখা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলন ও সংগ্রামে যুক্ত হলে মামলার স্বীকার হন এই তরুন নেতা। সক্রিয় রাজনীতিতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পাশাপাশি পিছিয়ে পড়েন লেখা পড়াতেও যার জেরে ১৯৮৫ সালে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হন। কলেজ জীবনে পদার্পনের সাথে সাথে রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয়তা আবারো তাকে হার মানায় । ১৯৮৬ সালে শৈর শাসক এরশাদ সরকারের নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন মো. ফিরোজুল ইসলাম জুয়েল, আসাদুজ্জামান বিরুসহ আরও ৭/৮ জন তরুন ছাত্রলীগ নেতা। সে সময় তাদের প্রত্যেক কেই ঈশ্বরদী থানাস্থ আম গাছে উল্টো ঝুলিয়ে সেনা বাহীনী কর্তৃক অমানুষিক ও নির্মমভাবে অত্যাচার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কারামুক্ত হয়ে ১৯৮৬ সালে তিনি ভর্তি হন ঈশ্বরদী সরকারী কলেজে। ১৯৮৭/৮৮ সালের কলেজ কাউন্সিলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জুয়েল। সে সময় ছাত্রলীগকে দমাতে জাসদ,বাসদ,জাতীয়পার্টি কমিউনিস্ট এবং বিএনপি একত্রিত হয়ে তাদের কলেজ শাখার প্যানেল ঘোষণা করেন। সকল দলের বিরুদ্ধে একমাত্র নিজেদের প্যানেল ঘোষণা করে আবারো হামলার স্বীকার হন আলহাজ্ব ফিরোজুল ইসলাম জুয়েল। প্রতিপক্ষের আঘাতে মারাত্বক জখম হলে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু মুজিব আদর্শের সৈনিক জুয়েলকে দমায় রাখতে পারেনি প্রতিপক্ষ। সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগকে বেগমান করে ৮৭/৮৮ সালের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এজিএস নির্বাচিত হন জুয়েল। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯/৯০ সালে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সম্মানের সাথে জি এস এবং ১৯৯১/৯২ সালে সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন যোগে উত্তরবঙ্গে আসলে ঈশ্বরদীতে বিএনপি কর্তৃক ট্রেনে হামলার স্বীকার হন। সেই হামলার প্রতিবাদে সেদিনও রাজপথে আন্দেলনে নামেন জুয়েল। সেই প্রতিবাদের জেরধরে হামলা চালানো সহ একাধিক মামলার স্বীকার হন ফিরোজুল ইসলাম জুয়েল। ২০০২/০৩ সালে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় সেনাবাহীনী কর্তৃক আবারো অমানুষিক নির্যাতিত হয়ে কারা বাস করতে হয় জুয়েলকে। শেখ হাসিনার উদ্যোগে সে সময় সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরদীতেও দলের আহত নেতাকর্মীদের ফ্রী চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেন। সেই কেন্দ্রে নিয়মিত ভাবে চিকিৎসা করান রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আহত রাজপথের লড়াকু সৈনিক ফিরোজুল ইসলাম জুয়েল। ০১,১১-২০০৭/০৯ সালে তত্বাবধায়ক সরকার মো. ফখরুদ্দীন দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর আবারো নানা প্রকার হামলা/মামলার স্বীকার হন। আওয়ামীলীগকে রাজনৈতিক ভাবে দমাতে সারা দেশের ন্যায় তাকেও আবার কারা বাসে পাঠান ফখরুদ্দিন সরকারের নিয়ন্ত্রিত সেনাবাহীনী। তৎকালীন বিশিষ্ট ধান চাল ব্যবসায়ী মৃত সিরাজুল হক প্রামানিকের সন্তান ছিলেন ফিরোজুল ইসলাম জুয়েল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিরোজুল ইসলাম জুয়েলের শেরশাহ্ রোডস্থ বাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ক্যাম্প করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের দলে জুয়েলের চাচা / মামাসহ সবার ঘাটি গারার খবর রাজাকাররা পাকি¯স্তানি মিলিটারী বাহিনীকে জানিয়ে দিলে মিলিটারীরা জুয়েলের বাড়ীসহ তৎসংলগ্ন চাউলের গোডাউনে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেন। ঈশ্বরদী আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠায় জুয়েলের নানা মৃত হারেজ সরদারের ( হারান সরদার) ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ । তিনি তার মুক্তিযোদ্ধা (বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব, মন্নান সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত পান্না সরদার. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. পাখি সরদার) সন্তানদের নিয়ে সে সময় উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আজ অবধি নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে অ্যতম এ্যাড ভোকেট রবিউল আলম বুদু ।
এ্যাড ভোকেট রবিউল আলম বুদু সরদার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি। তিনি ১৯৮০ সালে তৎকালীন ঈশ্বরদী মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং একই সালে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ থেকে সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে এইচএসসি পাশের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে সম্মান শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অন্যরা সবাই ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, বাকশালসহ অন্যান্য রাজনীতিতে মশগুল ঠিক সেই সময়েও নিজের আদর্শ এবং দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গুটি কয়েক সদস্য নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন বুদু। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পান তিনি। দ্বায়িত্ব পালন করেন সহ-আইন সম্পাদক পদেও। কেন্দ্রীয় যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হন রবিউল আলম বুদু। সুপ্রীম কোর্টের আইন পেশায় নিযুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহ সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতিতে আওয়ামীলীগ থেকে ৩ বার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন তিনি। প্রথমে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য থাকলেও বর্তমানে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে খুনিদের ফাঁসি দিতে সহায়তা করে যাচ্ছেন বুদু। তারই ভাগ্নে মো. ফিরোজুল ইসলাম ভিপি জুয়েল আওয়ামীলীগের সকল আন্দেলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ফিরোজুল ইসলাম জুয়েল এবার ২৯ সেপ্টেম্বরে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের অনুষ্ঠিতব্য ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ঈশ^রদী উপজেলার সকলের সহযোগিতা এবং দোয়া প্রত্যাসী। ভিপি জুয়েল সমর্থিতদের দেওয়া প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানাগেছে।#
No comments