প্রকাশিত প্রতিবাদের বিপক্ষে বিবৃতি

  প্রকাশিত প্রতিবাদের

বিপক্ষে বিবৃতি

জালাল উদ্দিন তুহিন এবং তার বন্ধু কামরুজ্জামান মিতুল (শিক্ষক,  রাজশাহী ইউনিভার্সিটিদু’জনই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার পথসভায় অংশগ্রহণ করতে। পোস্ট অফিস মোড়ে এসে তারা জানতে পারেন বিএনপি  অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঈশ্বরদী রেলজংসনে তৈরি করা মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। এবং ডিলু ভাই (প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী), আতিয়ার রহমান মাস্টার,বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঈশ্বরদীর  প্রতিষ্ঠাতা  সভাপতি প্রয়াত আতিয়ার রহমান  (কামরুজ্জামান মিতুল এর বড় ভাই)সহ প্রয়াত অনেকেই  লাঞ্ছিত হয়েছেন এবং ছাত্রলীগ  যুবলীগের অর্ধশত নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। তখন জালাল উদ্দিন তুহিন ও কামরুজ্জামানসহ অনেকে চলে আসেন ডিলু ভাই এর বাড়িতে। তখন ডিলু ভাইসহ অনেকে চুপ করে বসেছিলেন। কারো মুখে কোনো কথা নেই। এমন সময় কে যেন বললভাই আমরা মিছিল নিয়ে স্টেশনে যাবো। আমরা নেত্রীকে স্টেশনেই রিসেপশন দেব। শ্লোগান দেওয়া হল জয় বাংলাজয় বঙ্গবন্ধু। কিন্তু মিছিল করার জন্য একজন সিনিয়র নেতা দরকার। সে সময় তারা অনেককেই  মিছিল করতে বললেন কিন্তু কেউ রাজি হয়নি। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল তাদের কথায় রাজি হয়ে বললেনচলো আমি যাব। আলোবাগ বটতলা থেকে শুরু হলো তাদের মিছিল। তাদের সঙ্গে সেই মিছিলে যুক্ত হলেন পাবনা থেকে আসা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। মিছিলটি সেই সময় শহরের পোস্ট অফিস মোড় পার হচ্ছিলতখন তারা দেখলো মিছিল অনেক বড়। তারা যখন ঈশ্বরদী থানা পার হয়ে স্টেশন রোডের চিত্রলেখার সামনে গেল আর তখনি মাল গুদামের সীমানা প্রাচীরের ওপার থেকে এবং সুইচ কেনের আশপাশ থেকে শুরু হলো অসংখ্য হাতবোমা আর গুলিবর্ষন। তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন তারা কি করবে বুঝতে পারছিল না। ঠিক তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা রবিউল আলম বুদু ভাই এসে তাদের বলল আমি  পাকশী স্টেশনে যাচ্ছি তোরাও  পাকশী স্টেশনে চলে আয়। তোরাও পাকশী স্টেশনে চলে আয় আমরা ওইখানে আপাকে রিসেপশান দিব। তখন আমরা পাকশীর দিকে রওনা হই। এসময় তুহিন ও কামরুজ্জামান সিডি -80 মোটর সাইকেলে নিয়ে পাকশী স্টেশনে পৌছেন। এর পর পাকশী রেলস্টেশনে দেখা হয়,হাবিব ভাইশেখর ভাইলায়েব উদ্দিন লাভলু ভাইসহ অনেক নেতা-কর্মীর সংগে। প্রথমে তারা কথা বলে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার বহরে থাকা নেতা মোহাম্মদ নাসিম ভাই এর সঙ্গে। উনি জানতে চাইলেন ঈশ্বরদীতে কি হয়েছেতুহিন  বুদু ভাই সেই বিষয়ে তাকে অবহিত করলো।

 তারপর ট্রেনের দরজার সামনে এলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং হাতে মাইক নিয়ে বলেন ‘আমি শুনেছি ঈশ্বরদীতে আমাদের মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। আমাদের জনসভা করতে দেবে না। তবে যত বাধাই আসুক জয় আমাদের হবেই হবে। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ট্রেনটিটি ঈশ্বরদী স্টেশনে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে শুরু হয় নেত্রীকে বহনকারী ট্রেনকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা বর্ষন শুরু হয়। তৈরী হয় একবেদোনাবিধুর পরিবেশেরে । এটিই হলো শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলি বর্ষনসহ বোমাবাজির ঘটনার সংক্ষিপ্ত কাহিনী।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির আয়োজনে  বিএসআরআইতে অনুষ্ঠিত  মহামান্য রাষ্ট্রপতির পাবনায় অনুষ্ঠিতব্য নাগরিক  সংবর্ধনা সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় জালাল উদ্দিন তুহিনের বক্তব্য মিথ্যা বলে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বপন যে দাবি করেছেন তা ষড়যন্ত্রমূলক  বিভ্রান্তিকর। আমি ইমরুল কায়েস দারা ওই সময়ের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষি। যা উপরের বিবরণে তুলে ধরা হয়েছে।

 

ইমরুল কায়েস দারা

সাবেক ভিপিঈশ্বরদী সরকারি কলেজ

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগ( ইমরুল কায়েস দারা সাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তি-20.05.2023)।

No comments

Powered by Blogger.