ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন ইয়ার্ডে বিনা অনুমতিতে ঢালাই রেলক্রসিং তৈরী করায় মারাত্নক ট্রেন দূর্ঘটনার আশংখ্যা ।। এলাকাবাসীদের ইউএনও অফিসে সমঝোতা বৈঠকের ডাক,বিক্ষোভ ও উত্তেজনা

ইয়াছিন আরাফাত সরদার।। ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের আউটার সিগন্যাল ও স্টেশনের মাঝে ইয়ার্ডের মধ্যে    ডালাই রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট নানা অপৃতিকর ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর,মঙ্গলবার বিকালে  লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান,সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেইন মাসুদুর রহমানসহ সেনা সদস্য,পাকশী বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম,পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী/2 বীরবল মন্ডল,   ,পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী লোকো আশিষ কুমার,  , পাকশী বিভাগীয়  সিগন্যাল প্রকৌশলী এম,এম,রাজিব বিল্লাহ,এসিআরএনবি পাকশী আতাউর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা রাস্তা নির্মাণকারী গ্রামবাসীদের সাথে বাইপাস স্টেশন এলাকায়  আলোচনা ও সমাধানের জন্য উপস্থিত হন। রেল কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের রেলকর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্মাণ করা রাস্তা ব্যবহার করলে রেল কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীদের সুবিধা-অসুবিধার নানা দিক উল্লেখ করে বোঝানোর চেষ্টা করেন। একই সাথে তারা গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে টানেল দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরী করে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন। এসময় লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান,সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেইন মাসুদুর রহমানও বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাদের কোন প্রস্তাবেই রাজি হয়না,উল্টো বিভিন্ন প্রকার শ্লোগান দেন। প্রায় ঘন্টাকালব্যাপি উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা,উত্তেজনা,শ্লোগান চলাকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনকে চালক দূর্ঘটনা এড়াতে থামিয়ে দেন। তিনমিনিট পর ওটিপি দিয়ে ট্রেনটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান,জনগণের সুবিধার্থে রেল কর্তৃপক্ষ সবসময় কাজ করে থাকে। কিন্তু বাইপাস স্টেশন এলাকাবাসী কোন প্রকার আলোচনা বা আবেদন না করেই  মাইন নামের একজন সরকারী চাকরীজীবি ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে জোরপূর্বক  রেলওয়ের আইন অমান্য করে আন্ত:নগরসহ সকল প্রকার চলাচলের চারটি রেললাইন বিশিষ্ট ইয়ার্ডের মধ্য দিয়ে ঢালাই রাস্তা তৈরী করেছেন। এতে ট্রেনযাত্রীসহ গ্রামবাসীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন । গত 16 অক্টোবর থেকে রাস্তা তৈরীর বিষয়টি জানার পর রেল কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের বাধাপনিষেধ ও বোঝানোর চেষ্টা করেও কাজ হয়নি । মাইন নামের একজন সরকারী চাকরীজীবি ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে অনডিউটি স্টেশন মাস্টারকে তার চেয়ার থেকে তুলে এবং স্টেশন প্লাট ফরমে লাঠিসোঠা নিয়ে বিভিন্ন প্রকার শ্লোগান দেন।  শুধু তাইনা, তারা তাদের এসব মিছিল ও শ্লোগানের ভিডিও ধারণ করে সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন। এখানেই শেষ না,তারা পিডাব্লিউআই ঈশ্বরদীকেও মারপিট করেছেন। যে বিষয়টি সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সকল প্রকার প্রশাসনের জানা আছে। এবিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় জিডিও করা হয়েছে।

ডহরশৈল গ্রামের বাসিন্দা ও এবি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহবুল আলম বলেন, এখানে রেললাইন নির্মাণের সময় থেকেই আমরা দাবি জানিয়ে আসছি রেলগেট নির্মাণের। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা রেলপথ অবরোধ করেছে। গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগ ও খরচে এখানে পাকা রাস্তা নির্মাণের পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা গ্রামবাসীকে উপেক্ষা করে আসছিলো। 

রাস্তা তৈরী করা গ্রামবাসীরা জানান, তিনদিনের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর সকালে উত্তরাঞ্চলে থেকে ঢাকা অভিমুখী রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়ে রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানান গ্রামবাসীরা।

 ইউএনও মেহেদী হাসান জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিল। গ্রামবাসীদের দাবির বিষয়টিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে  ঝুঁকিপূর্ণ,। যেহেতু পাশেই রেলস্টেশন ।  বিরতিহীন অসংখ্য  আন্ত:নগর  ট্রেন চলাচল করে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসবো বিষয়টি সমাধানেরজন্য। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সূফী নূর মোহাম্মদ জানান, বাইপাস স্টেশন ইয়ার্ডে জোর খাটিয়ে বেআইনিভাবে জোর পূর্বক ঢালাই রেলক্রসিং নির্মণ করে এলাকা্বাসীসহ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছেন। যেকোন সময় ভয়াবহ দূর্ঘটনায়  অসংখ্য প্রাণহানির আশংখা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও-এর সঙ্গে বসে আলোচনা করার কথা হয়েছে।  #

 

 

No comments

Powered by Blogger.