অবশেষে স্বস্তি ।। ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের অবৈধ রেলগেট ও আরসিসি রাস্তা উচ্ছেদ


 ক্যাপশন ।। ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন ইয়ার্ডে বৈধভাবে নির্মানকৃত রেলগেট ও আরসিসি রাস্তা ভেঙে রেলপাত পুঁতে চলাচল বন্ধ করার কাজের একাংশ।

এডভোকেট আব্দুল্লাহ্ আল শোভন ।। দীর্ঘ ৩৭৯ দিন পর অবশেষে  ঈশ্বরদী বাইপাস রেল স্টেশনের ইয়ার্ডের মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত রেলগেট এবং আরসিসি রাস্তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলামের নিজস্ব উদ্যোগে এই স্থাপনাটি ভেঙে দেওয়ায় ট্রেন চলাচলের ঝুঁকি ও অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে এলাকাবাসীসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্বস্তি পেয়েছে। এঅবস্থা সৃষ্টির পক্ষে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী/২ নাজিব কাযসারসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।​ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী/২ অফিসের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।

​সূত্রমতে,২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে রেলওয়ের আইন অমান্য করে এবং রেল কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে রাতের আঁধারে কমান্ডো স্টাইলে পাবলিক হেলথ বিভাগের  সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে গায়ের জোরে রেল গেট ও আরসিসি রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিদিন 22 জোড়া আন্তঃনগর এক্সপেসসহ বিভিন্ন প্রকার অসংখ্য ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। ​অবৈধভাবে রেলগেট ও আরসিসি রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি জানার পর পাকশঅ বিভাগীয় রেল কর্তৃপক্ষ বারবার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম এবং এলাকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনুরোধ করে গেট ও রাস্তাটি ভেঙে ফেলার জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু তারা সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। ​ ​  অবশেষে উপায় না দেখে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডলসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানগণ লালপুর উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ, ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ওসি

এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এলাকাবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এত চেষ্টার পরও গেট ও আরসিসি রোডটি ভাঙতে তারা রাজি হননি। ​ অবশেষে ​কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় অফিস রেলওয়ে আইন বাস্তবায়ন, ট্রেন চলাচলের ঝুঁকি এড়ানো এবং সম্ভাব্য প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত করতে পাবলিক হেলথ এর মহাপরিচালক বরাবর সহকারী প্রকৌশলী মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন এবং মামলা  দায়ের করেন। ​ এরপর মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় । পরে অবস্থা বেগতিক দেখে এবং আইনি জটিলতা এড়াতে সহকারী প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম নিজেই উদ্যোগী হয়ে গত বৃহস্পতিবার, অবৈধভাবে নির্মিত সেই রেলগেট ও আরসিসি রাস্তাটি নির্মাণের ৩৭৯ দিন পরে ভেঙে দেওয়া হয় এবং ওই পথে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ​দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই জটিলতার পর অবৈধ রেলগেট ও রাস্তাটি ভেঙে দেওয়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ এলাকার সচেতন মহল এবং ট্রেন ব্যবহারকারী অসংখ্য মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের এই অংশে ট্রেন চলাচল হবে আরও নিরাপদ। #

 

No comments

Powered by Blogger.