ঈশ^রদীতে ক্ষতিপূরণ দাবিতে ফিডমিল মালিকের সাংবাদিক সম্মেলন




ক্যাপশন : সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেসার্স সুমি লুজ ফিড মিলের স্বত্ত্বাধিকারী বেলায়েত সরকার।


স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেলায়েত সরকার ২০০৫ সালে মাছ,মুরগী ও গরুর খাদ্য প্রস্তুতের জন্য মেসার্স সুমি লুজ ফিড মিল স্থাপন করে পল্লী বিদ্যুৎ দাশুড়িয়া অফিসের মাধ্যমে মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর মিলে উৎপাদন চলমান থাকে। এ সময় দাশুড়িয়া অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার বেলায়েত সরকারের নিকট প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ দাবি করে বলেন, আপনি টাকা দিলে মিলের মাসিক বিদ্যুৎ বিল কম করে করা হবে। তার অনৈতিক প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ায় ডেপুটি ম্যানেজার ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে গত ৬/১২/২০১৬ ইং তারিখে বেলায়েত সরকার ঢাকায় থাকা কালিন সময়ে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে সিলগালা করা মিলের মিটার খুলে তার পরিবর্তণ ও বিলের রিডিংও পরিবর্তণ করা হয়। ্এর পর হঠাৎ করে মিটারের তার পুড়ে যায়। ফলে এর পর থেকে পূর্বের তুলনায় তিন চার গুণ অতিরিক্ত বিল দাখিল করা শুরু হয়। অবস্থা বুঝে অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিকট বিল বেশী দাখিলের বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোন সঠিক জবাব দেননি এমনকি তার পুড়ে যাওয়ার কারণও জানানো হয়না। কর্মকর্তাদের অবহেলা বুঝতে পেরে তিনি গত ২০.১১.২০১৭ ইং তারিখে পাবনা আদালতে মেশবাহুল হক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও জুলফিকার হায়দার জেনারেল ম্যানেজার পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কে বিবাদী করে অঃপ্রঃ ২০/২০১৭ নং মামলা করেন। মামলার সাক্ষী প্রমানে বেলায়েত সরকারকে না জানিয়ে সিলগালা করা মিটার খোলার প্রমাণ মেলে। পরবর্তীতে চাকরী বাচানোর জন্য তিনি মিটার খোলা ও বিল বেশী দাখিলের অপরাধ স্বীকার করে এবং বেলায়েতকে অনুরোধ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার মিলে পুণরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার শর্তে সম্মত হয়ে মামলা প্রত্যাহার করানো হয়। শর্ত মোতাবেক মিলে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেওয়ার পর আবার মিলে উৎপাদন শুরু করা হয়। উৎপাদন শুরুর প্রায় দু’মাস পর মামলা প্রত্যাহারের সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ দাশুড়িয়া অফিস কর্তৃপক্ষ বেলায়েত সরকারের নিকট বিদ্যুৎ অফিসের ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩’শ২৮ টাকা পাওনা আছে মর্মে কোর্ট মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু মামলা প্রত্যারের পর রহস্য জনকভাবে গত ১০.১.২০১৮ ইং তারিখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ দাশুড়িয়া অফিসের ডিজিএম মেশবাহুল হক বেলায়েত সরকারের নিকট ৩৩ মাসের রিবেট এর টাকা বাবদ ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪’শ১৮ টাকা ফেরত দাবি করে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করেন ।

সূত্রমতে, মিলের উৎপাদন চলমান থাকা অবস্থায় বর্জপাতে ট্রান্স ফরমার পুড়ে যাওয়ার পর ট্রান্স ফরমারটি খুলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ চাটমোহর অফিসে নেওয়া হয়। ফলে আবারও মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় বেলায়েত সরকার ঐ অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ ৩৯ হাজার টাকা দাবি করেন। এ অবস্থায় তিনি অফিস কর্তৃপক্ষকে ৩৯ হাজার টাকা কিস্তি করে দেওয়ার অনুরোধ করলে তারা কিস্তি করে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একই সাথে কর্তৃপক্ষ আবারও অযৌক্তিক ভাবে রিবেট বাবদ তাদের দাবিকৃত ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪’শ১৮ টাকা দাবি করেন। উপায়ান্ত না পেয়ে পরবর্তীতে তিনি উক্ত টাকা কয়েন মুদ্রার মাধ্যমে পরিশোধের জন্য গত ১৫.০৭.২০১৮ ইং ও ০২.১২.২০১৮ ইং তারিখে পৃথক দু’টি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লিগ্যাল নোটিশ দু’টির জবাবের মাধ্যমে তাদের দাবিকৃত বিল নিবেন কি নিবেন না তা কোন ভাবেই অদ্যবধি জানাননি। এরপরও বেলায়েত সরকার বকেয়া মুল বিলের মোট টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা কয়েন মুদ্রা বাদে কাগজের টাকায় পরিশোধ করার জন্য উক্ত কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঁচবার লিখিত আবেদন করেন। একই সাথে তিনি ২ লাখ টাকা নেওয়ার পর অবশিষ্ট বকেয়া টাকার কিস্তি করে দেওয়ার অনুরোধসহকারে মিলে পুণরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আবেদন করেন। তাতেও তারা কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার পরও তিনি আবারও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য লিখিত আবেদন করেন। এতেও কোন ফল পাননি বেলায়েত সরকার। ফলে বিগত প্রায় চার বছর তার মিলে উৎপাদন বন্ধ থাকায় নানা ভাবে প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছেন বেলায়েত সরকার।

সুত্রমতে,বেলায়েত সরকার সর্বশেষ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ দাশুড়িয়া অফিসের বর্তমান ডিজিএম মেশবাহুল হক,এজিএম(ওএন্ডএম)এস,এম,আব্দুল খালেক,বিলিং সুপাফাইজার সখিনা খাতুন,পাওয়ার হাউজ কোঅডিনেটর খন্দকার রফিকুল ইসলাম,সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হকের কাছে আবেদন করেও কোন সুরাহা না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে শিল্পোন্নয়নে বিশ^াসী ও মানবতার মাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বেলায়েত সরকার। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাবনা-১ দাশুড়িয়া অফিসের বর্তমান ডিজিএম মেশবাহুল হক ও এজিএম(ওএন্ডএম)এস,এম,আব্দুল খালেকের কাছে এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাওয়া হলে তারা বেলায়েত সরকারের সকল অভিযোগ সঠিক না বলে দাবি করেন। একই সাথে তারা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,কোর্টের সিদ্ধান্তের পরও বেলায়েত সরকার কিস্তির টাকা প্রদানে ব্যর্থ হন এবং মাছের খাদ্য তৈরীর কথা বলে মশার কয়েল তৈরীর গুড়া তৈরী করায় রিবেটের টাকা দাবি করা হয়েছে।#




No comments

Powered by Blogger.